তিলের লাড্ডু ও ও তিলের তেলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ তৈরির রেসিপি ও ব্যবহার

 তিলের লাড্ডু ও তিলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ তৈরির রেসিপি ও ব্যবহার



ভূমিকা

তিলের লাড্ডু এবং তিলের তেল আমাদের স্বাস্হরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিলের লাড্ডু মূলত গুড়ঁ, ঘি ও তিল দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার, যা বিশেষ করে শীতকাল শরীর গরম রাখতে সাহায়্য করে। অন্য দিকে তিলের তেল রান্না, সৌন্দর্যচর্চা এবং আযুর্বেদিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়।

এই ব্লগ আমরা তিলের লাড্ডুর উপকারিতা তিলের লাড্ড ‍ু তৈরির রেসিপি, তিলের তেলের উপকারিতা এবং তিলের ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।


তিলের লাডডুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ ।

তিলের লাডডু কী?

তিলের লাডডু হলো এক ধরনের মিষ্টি যা প্রধানত তিল, গুঁড় ও ঘি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়। বরং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। 

তিলের লাডডুর উপকারিতা

১। তিলের লাডডুর উপকারিতা মধ্যে অন্যতম হলো এটি হাড়ের শক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। 

২। তিলের লাডডুতে থাকা ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাএা  সমান রাখে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ সাহায্য করে । 

৩।  তিলের লাডডুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়ক এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৪। তিলের লাডডুর উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো এটি ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী করে।

৫। শীতকালে তিলের লাডডু  খেলে শরীরের তাপমাএা সাভাবিক রাখে। 






তিলের লাডডু তৈরির রেসিপি

উপকরণ:

* ১ কাপ তিল ( সাদা বা কালো)
*  ১/২ কাপ গুড়ঁ
* ১ টেবিল চামচ ঘি
* ২-৩ টি এলাচ গুঁড়া ( স্বাদ অনুযায়ী)

তৈরির পদ্ধতি:

১. প্রথমে একটি শুকনো প্যানে তিল ভেজে নিন, যতক্ষণ না এটি লালচে হয়ে সুন্দর গন্ধ বের হয়।

২. অন্য একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে গুঁড় দিন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। 

৩. গুঁড় গলে গেলে তাতে ভাজা তিল ও এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন। 

৪. মিশ্রণটি সামান্য ঠান্ডা হলে হাতে ঘি মেখে ছোট ছোট লাডডু তৈরি করুন।

৫. ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিবেশন করুন এবং বায়ুরোধী পাএ সংরক্ষন করুন।

তিলের তেলের উপকারিতা

১. তিলের তেলের উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হাটের সুস্ততা বজায় রাখে । 

২. তিলের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি- ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি ত্বক উজ্জল করতে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ।

৩. তিলের তেলের উপকারিতা হলো এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এর্বং খুমকি দূর করে ।

৪. তিলের তেল জয়েন্ট পেইন কমাতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ঘনন্ত বাড়ায়। 

৫. তিলের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url